জি এম রিয়াদ পরশ টিভিঃ
প্রতিবছর উপকূলীয় অঞ্চলে নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ আঘাত হানে যার কারনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তেমনি এক ঘটনা ঘটে ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর,ভোলা ঘূর্ণিঝড় নামক ঘূর্ণিঝড়। যার দাপটে বাংলাদেশে ১০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তাই ১২ নভেম্বরকে জাতীয় ভাবে উপকূল দিবস হিসাবে দাবি জানাই বাকেরগঞ্জের যুবরা। যুবরা আজ রাস্তায় ও উপকূলীয় অঞ্চলে মানবন্ধন র্যালিসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেন। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আল শাহরিয়ার ফাহিম( সভাপতি,কেন্দ্রীয় কমিটি, ইয়ুথ ফোরাম ফর সোশাল জাস্টিস), আবির চৌধুরী ( সভাপতি, বাকেরগঞ্জ শাখা,ইয়ুথ ফোরাম ফর সোশাল জাস্টিস) এস.এম. এমদাদ ( স্থানীয় যুব লিডার) সহ আরো অনেক যুবরা ।
শাহরিয়ার ফাহিম বলেন- ঘূর্ণিঝড় আসলেই বাকেরগঞ্জ মানুষ ক্ষতির মুখে পরেন৷ আমরা ত্রাণ চাই না, বাঁচতে চাই। তিনি জোড়ালো ভাবে দাবি জানান ১২ নভেম্বর কে জাতীয়ভাবে উপকূল দিবস পালন করা ও সেদিন উপকূলীয় অঞ্চলে নানা কর্মসূচী পালন করা যাতে উপকূলবাসী তাদের চাহিদাগুলো তুলে ধরতে পারে।
তিনি আরো বলেন – বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ১৮৭৬, ১৯৯৬, ২০০৭ সালে সিডর ২০০৯ সালে আয়লাসহ ছোট বড় অনেক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে উপকূলে যাতে লাখো লাখো মানুষের হতাহত প্রাণহানি সহ ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়। উল্লেখ থাকে যে ১৮৭৬ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বাকেরগঞ্জের ৫ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হয়। জলাবায়ু পরিবর্তনের কারনে একটা ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটাতে না কাটাতে আরেকটা দূর্যোগ আঘাত হানে উপকূল অঞ্চলে। ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাস থল নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের দারিদ্রতার চরম শিখরে নিয়ে গিয়েছে। ৷
Leave a Reply