ইমাম হোসেন মনা, বাউফলঃ
পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কেটে গেছে আইনি জটিলতা। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর কোনো বাঁধা নেই।
বুধবার উচ্চ আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চে দেওয়া নিস্পত্তি রায়ে নির্বাচন সংক্রান্ত জটিলতা কেটে যায়।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর, দাশপাড়া, মদনপুরা ও বাউফল ইউনিয়নের নির্বাচন ২০১১ সালে এবং বাউফল পৌরসভার নির্বাচন ২০১২ সালের ২২ মে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাউফল পৌরসভাকে এ গ্রেডে উন্নীত করতে গিয়ে পৌরসভা সংলগ্ন ওই চারটি ইউনিয়ন থেকে কিছু অংশ কেটে পৌরসভার সাথে অর্ন্তভূক্ত করে ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাউফল পৌরসভাকে এ গ্রেডে উন্নীত করে গেজেট প্রকাশ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরে ওই চার ইউনিয়নের ছয় ব্যক্তি গেজেটের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে একাধিক রিট করেন।
উচ্চ আদালত দাসপাড়া ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের করা রিটটি শুনানির জন্য রেখে অন্যান্য রিটগুলো খারিজ করে দেন। দীর্ঘ দিনে আদালত থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বাউফল পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করতে পারেননি। শফিকুল ইসলাম স্বপন নামের সুপ্রীম কোর্টের এক আইনজীবী জানান, রিটটির নিস্পত্তি আদেশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার সচিব দ্রæত পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোর পূণ:বিন্যাস করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করবেন। এদিকে, এই খবর বাউফলে ছড়িয়ে পড়ায় সাধারন মানুষের মাঝে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন মহলে উঠে নির্বাচনী আলোচনা। ভোটাধিকার বঞ্চিত ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দ।
বাউফল পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফারুক বলেন, মহামাণ্য আদালত ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা নিস্পত্তি করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ফিরে পেয়েছে। এবার মানুষ তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।
Leave a Reply